ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট মূলত আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্ক এর একটি সম্মিলিত ঔষধ। সহজভাবে বললে, এই ট্যাবলেটটি আপনার শরীরের এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের অভাব পূরণ করতে এবং এই অভাবের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় কাজ করে।
আপনি কি feglo fz ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ অবদি পড়ার চেষ্টা করুন। কেননা feglo fz ট্যাবলেট এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
feglo fz কিসের ঔষধ
ফেগলো এফজেড মূলত আয়রন , ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্ক এর একটি সম্মিলিত সাপ্লিমেন্ট। সহজ কথায়, এটি একটি ঔষধ যা এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে এবং সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধ নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোর জন্য নির্দেশিত:
আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা: যখন শরীরে পর্যাপ্ত লোহা না থাকার কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। লোহা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অত্যাবশ্যক, যা রক্তে অক্সিজেন বহন করে।
গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাব প্রতিরোধ ও চিকিৎসা: গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের চাহিদা অনেক বেড়ে যায় মা ও শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য। ফেগলো এফজেড গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ফলিক অ্যাসিডের অভাব: ফলিক অ্যাসিড নতুন রক্তকণিকা তৈরি এবং কোষের সঠিক বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য জরুরি, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের সঠিক গঠনে এর ভূমিকা অপরিসীম।
জিঙ্কের অভাব: জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্ষত নিরাময়, বৃদ্ধি ও বিকাশে এবং অনেক এনজাইমের সঠিক কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিঙ্কের অভাব দেখা দিলে এটি পূরণে সাহায্য করে।
যখন খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়া যায়: অনেক সময় খাদ্যাভ্যাস থেকে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও জিঙ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না, তখন এই সাপ্লিমেন্টটি সেই ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত হয়।

এর উপাদানগুলো যেভাবে কাজ করে:
ফেরাস অ্যাসকরবেট: এটি আয়রন এবং ভিটামিন সি (অ্যাসকরবেট) এর একটি যৌগ। এতে থাকা আয়রন শরীরের লোহার ভান্ডার পূরণ করে রক্তস্বল্পতা দূর করে। আর ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
ফলিক অ্যাসিড: এটি ভিটামিন বি এর একটি ফর্ম। এটি লোহিত রক্তকণিকা তৈরি, ডিএনএ (DNA) উৎপাদন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডের বিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় কারণ এটি অনাগত শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
জিঙ্ক: এটি একটি মাইক্রোমিনারেল বা ট্রেস এলিমেন্ট যা শরীরের অসংখ্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি, ক্ষত নিরাময় এবং শিশুদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সুতরাং, ফেগলো এফজেড হলো এমন একটি ঔষধ যা রক্তস্বল্পতা, বিশেষ করে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্কের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে গর্ভাবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা।
feglo fz ট্যাবলেট এর কাজ কি
ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট মূলত আয়রন (লোহা), ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্ক (দস্তা) এর একটি সম্মিলিত ঔষধ। সহজভাবে বললে, এই ট্যাবলেটটি আপনার শরীরের এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের অভাব পূরণ করতে এবং এই অভাবের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় কাজ করে।
feglo fz ট্যাবলেট আমামদের দেহে যেসব কাজ করে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- রক্তস্বল্পতা দূর করে
- গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়তা করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- সাধারণ পুষ্টির অভাব পূরণ করে
ফেগলো এফজেড ট্যাবলেটটি রক্তস্বল্পতা, বিশেষ করে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্কের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতার চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বিবেচিত।
তবে, যেকোনো ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি আপনার শারীরিক অবস্থা দেখে আপনাকে এটি সেবনের সঠিক কারণ, মাত্রা ও সময়কাল সম্পর্কে নির্দেশনা দেবেন।
আরো দেখুনঃ Zo-MUPS 20 এর কাজ কি ?
feglo fz ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট একটি আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট। এটি সঠিক নিয়মে সেবন করা খুবই জরুরি, কারণ এতে থাকা আয়রন ভুলভাবে সেবন করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলঃ
প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো: ফেগলো এফজেড একটি ঔষধ, তাই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি সেবন করা উচিত নয়। আপনার চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থা, রক্ত পরীক্ষার ফলাফল এবং আপনার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ডোজ এবং কতদিন এটি খেতে হবে তা বলে দেবেন।
তবে, সাধারণত যেভাবে ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়, তার একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলো:
১। ডোজ
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত দিনে একটি করে ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় বা যখন তীব্র রক্তস্বল্পতা থাকে, তখন চিকিৎসক প্রয়োজনে ডোজ বাড়াতে পারেন, তবে তা চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ীই হবে।
২। কখন খাবেন
ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট সাধারণত খাবারের পর সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো যায়। সকালের নাস্তার পর বা দুপুরের খাবারের পর খেতে পারেন।
৩। কীভাবে খাবেন
ট্যাবলেটটি পুরো গিলে ফেলুন। এটি চিবানো, ভাঙা বা গুঁড়ো করা উচিত নয়। এতে ঔষধের সঠিক শোষণ ব্যাহত হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে ট্যাবলেটটি সেবন করুন।
৪। সময়কাল
এটি কতদিন সেবন করতে হবে, তা আপনার চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন। রক্তস্বল্পতার তীব্রতা অনুযায়ী এটি কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস, বা কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদীও হতে পারে। চিকিৎসক যতক্ষণ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে বলবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খাওয়া উচিত। নিজে নিজে হঠাৎ করে ঔষধ বন্ধ করা বা ডোজ পরিবর্তন করা উচিত নয়।
মনে রাখবেন, এখানে দেওয়া তথ্যগুলো কেবলমাত্র সাধারণ নির্দেশিকা। আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য সবসময় আপনার চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শই অনুসরণ করুন।
feglo fz ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রত্যেকটি ঔষধের মতোইফেগলো এফজেড ওষুধটিরও সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি আমাদের নানান ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে ঠিকই। তবে এটি গ্রহণের ফলে হালকা ও ক্ষণস্থায়ী কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে। আর সে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলোঃ
- গ্যাস্ট্রিক জনিত ব্যথা
- বমি বমি ভাব
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- বমি হওয়া
- ডায়রিয়া
- হার্টের জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।
এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও এটি গ্রহণ করার ফলে অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যদি কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
feglo fz ট্যাবলেট সেবনে সতর্কতা
যেকোনো ঔষধ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই সেই ঔষধ সেবনে সতর্কতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফেগলো এফজেড ওষুধটি সেবনেও বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাহলে চলুন এবার সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট একটি খুব উপকারী ঔষধ, কারণ এটি আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। তবে, যেকোনো ঔষধের মতোই এটি সেবনের সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা খুব জরুরি, যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট সেবনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন:
১। ডাক্তারের পরামর্শ অপরিহার্য: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন না। তিনি আপনার শারীরিক অবস্থা, রক্তের রিপোর্ট, এবং আপনার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন বুঝে সঠিক মাত্রা ও কতদিন ঔষধটা খেতে হবে তা বলে দেবেন। নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া শুরু করা ঠিক নয়।
২। নির্দেশিত মাত্রা মেনে চলুন: ডাক্তার যে ডোজ বা মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন, সেটা কঠোরভাবে মেনে চলুন। বেশি উপকার পাওয়ার আশায় বা দ্রুত ফল পাওয়ার লোভে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি ট্যাবলেট খাবেন না। কেন বেশি খাওয়া ঠিক নয়? কারণ ফেগলো এফজেড-এ আয়রন থাকে। শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমা হলে তা বিষাক্ত হতে পারে, যা লিভার, হৃদপিণ্ড এবং অগ্ন্যাশয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
৩। নির্দিষ্ট কিছু খাবারের সাথে সতর্কতা: ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট সেবনের সময় চা, কফি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য একসাথে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলোতে থাকা কিছু উপাদান আয়রনের শোষণকে মারাত্মকভাবে কমিয়ে দিতে পারে। ফেগলো এফজেড ট্যাবলেট খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে বা ২ ঘণ্টা পরে এসব খাবার/পানীয় সেবন করা উচিত।
৪। খাবারের সাথে সেবন করুন: সাধারণত খাবারের পর এই ট্যাবলেটটি সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো যায়। খালি পেটে আয়রন ট্যাবলেট খেলে অনেকেরই পেটে জ্বালাপোড়া বা বমি বমি ভাব হয়।
৫। ভিটামিন সি এর সাথে সেবন: আয়রন শরীরে ভালোভাবে শোষিত হওয়ার জন্য ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয়। তাই ফেগলো এফজেড ট্যাবলেটটি কমলা লেবু, মাল্টা, আমলকী বা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্য কোনো ফলের রস অথবা ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর সাথে সেবন করলে আয়রনের শোষণ অনেক বেশি কার্যকর হয়।
৬। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা: ফেগলো এফজেড সেবনে কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন: কোষ্ঠকাঠিন্য, কালো পায়খানা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া। এগুলো সাধারণত গুরুতর নয় এবং শরীর মানিয়ে নিলে ঠিক হয়ে যায়।
যদি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো খুব বেশি তীব্র হয় বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া (যেমন অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট) দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ঔষধ সেবন বন্ধ করে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
feglo fz ট্যাবলেট এর দাম কত
ফেগলো এফজেড প্রতিটি ট্যাবলেট ৭ টাকা থেকে ৭.৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদি আপনি পুরো স্ট্রিপ বা পাতা কিনতে চান, যেখানে সাধারণত ১০টি ট্যাবলেট থাকে, তাহলে এর দাম পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এই দামগুলো আনুমানিক এবং দোকান ভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
অনেক অনলাইন ফার্মেসিতে মাঝে মাঝে ডিসকাউন্ট বা অফার চলতে পারে, সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমও পেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি যখন ঔষধ কিনতে যাবেন, তখন ফার্মেসিতে সরাসরি দাম জেনে নেওয়া। আর অবশ্যই, ডাক্তার বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করবেন না।
সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন ১: Feglo FZ কেন খাওয়া হয়?
👉 আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে।
প্রশ্ন ২: গর্ভবতী মায়েরা কি Feglo FZ খেতে পারবেন?
👉 হ্যাঁ, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
প্রশ্ন ৩: Feglo FZ কতদিন খেতে হয়?
👉 ডোজ ও সময়কাল নির্ভর করে রোগীর অবস্থা ও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ওপর।
প্রশ্ন ৪: শিশুদের জন্য Feglo FZ দেওয়া যায় কি?
👉 শিশুদের ক্ষেত্রেও দেওয়া যায়, তবে বয়স ও ওজন অনুযায়ী ডোজ চিকিৎসক নির্ধারণ করবেন।
প্রশ্ন ৫: Feglo FZ-এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
👉 হালকা গ্যাস্ট্রিক, বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে, তবে গুরুতর কিছু হলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রশ্ন ৬: Feglo FZ কি প্রতিদিন খাওয়া যায়?
👉 হ্যাঁ, কিন্তু শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত খাওয়া উচিত।
লেখকের শেষ মতামত
যেকোনো ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি আপনার শারীরিক অবস্থা দেখে আপনাকে এই ওষুধ সেবনের সঠিক কারণ, মাত্রা ও সময়কাল সম্পর্কে নির্দেশনা দেবেন।