পাইলস এর লক্ষণ, চিকিৎসা, ঔষধের নাম, চিকিৎসা খরচ

বর্তমানে বাংলাদেশে পাইলস একটি বহুল পরিচিত ও সাধারণ রোগ। নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কোনো বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। পাইলসের চিকিৎসা ও এর থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তির উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে রোগটি প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা সম্ভব। তবে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে বা রোগ জটিল আকার ধারণ করলে অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন হয়। 

আজকের আর্টিকেল এ আমরা পাইলস এর লক্ষণ, চিকিৎসা, ঔষধের নাম, চিকিৎসা খরচ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। মনে রাখবেন, এটি একটি জটিল রোগ, তাই যত জানবেন তত তা আপনার সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে এবং রোগ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছানোও এড়ানো সম্ভব হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা

এখানে আপনি পাবেন

পাইলস কী?

পাইলস বা হেমোরয়েডস হলো মলদ্বারের ভেতরের বা বাইরের শিরাগুলোর ফুলে যাওয়া। মলদ্বারের চারপাশের রক্তনালীগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়লে সেখানে গাঁটের মতো ফুলে ওঠে, একেই পাইলস বলা হয়। মলদ্বারের শিরাগুলিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হলে পাইলস দেখা দেয়। সাধারণত এই চাপ বেড়ে যায় দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘ সময় বসে থাকা, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত জোর করা, গর্ভাবস্থা বা অতিরিক্ত ওজনের মতো কারণের ফলে। 

পাইলস হওয়ার কারণ গুলো কী কী?  

পাইলস মূলত মলদ্বারের শিরাগুলিতে অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়ে থাকে। যখন মলত্যাগের সময় বা দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসে এই শিরাগুলিতে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় বা চাপ বৃদ্ধি পায়, তখন শিরাগুলো ফুলে যায় এবং পাইলস তৈরি হয়। কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ 

  • দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য

দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মল শক্ত ও শুকনো হয়ে যায়। এতে মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত জোর দিতে হয়, ফলে মলদ্বারের ভেতরের শিরাগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এই অতিরিক্ত চাপের কারণে শিরাগুলো ফুলে যায় ও ফেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে, যা ধীরে ধীরে পাইলসে রূপ নেয়। 

  • মলত্যাগের সময় বেশি সময় টয়লেটে বসে থাকা

অনেকেই টয়লেটে গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করেন বা আরাম করে দীর্ঘ সময় বসে থাকেন। কিন্তু এই অভ্যাসটি মলদ্বারের শিরাগুলিতে স্থায়ী চাপ সৃষ্টি করে। বেশি সময় বসে থাকার ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং শিরাগুলো ফোলা শুরু করে যা পাইলসের কারণ। 

  • মলত্যাগের সময় জোর করা

যখন কেউ মলত্যাগের সময় বেশি চাপ দেয় এবং তা বারবার ঘটলে রক্তনালীগুলো স্থায়ীভাবে গাঁটের মতো ফুলে থাকে, যা পাইলসের রূপ নেয়। অতিরিক্ত জোর করার অভ্যাস সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আসে। 

  • আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া 

খাবারে পর্যাপ্ত আঁশ না থাকলে মল শক্ত হয়ে যায় এবং তা বের করতে কষ্ট হয়। এটি এক সময় পাইলসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, ও গোটা শস্য অন্ত্রে পানি ধরে রাখে এবং মলকে নরম রাখে। 

  • শারীরিক পরিশ্রমের অভাব

বর্তমান সময়ে অনেকেই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন। এতে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ধীর গতিতে চলে, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এবং পরোক্ষভাবে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

  • গর্ভাবস্থা

গর্ভবতী নারীরা অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হতে থাকায় তা পায়ুপথের শিরাগুলিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে হরমোন পরিবর্তনের কারণে রক্তনালীগুলোর দেয়াল নরম হয়ে যায়, যা ফুলে ওঠার প্রবণতা বাড়ায়। ফলে তা রূপ নেয় পাইলসে। 

  • অতিরিক্ত ওজন

শরীরের অতিরিক্ত ওজন বিশেষ করে কোমর ও পেটের অংশে বাড়লে মলদ্বারের নিচের শিরাগুলির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন এই চাপ থাকলে শিরাগুলো ফুলে গিয়ে পাইলস তৈরি করে। 

পাইলস হলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?

পাইলসের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনি পাইলসে আক্রান্ত। শুরুতে লক্ষণগুলো হালকা হতে পারে, কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না নিলে তা ধীরে ধীরে গুরুতর আকার ধারণ করে। নিচে লক্ষণ গুলো উল্লেখ করা হলোঃ 

  • মলত্যাগের সময় বা পরে রক্ত পড়া
  • মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
  • মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি ও জ্বালাভাব
  • মলদ্বারে ভারী বা ফোলাভাব অনুভব করা 
  • বসতে বা চলাফেরা করতে কষ্ট হয় 
  • মলত্যাগের পরও মনে হয় পেট পুরোপুরি খালি হয়নি, অর্থাৎ অসম্পূর্ণ মলত্যাগ
  • মলত্যাগের সময় মলদ্বার থেকে ছোট গাঁট বেরিয়ে আসা। 

পাইলস এর চিকিৎসা কীভাবে করা হয়? 

Treatment of piles

প্রাথমিকভাবে, রোগীর মলদ্বার এবং এর আশেপাশের এলাকাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভালোভাবে পরীক্ষা করেন। এসময় বাহ্যিক পাইলস বা ফুলে থাকা শিরা লক্ষ্য করা হয়। পাইলসের ধরন, অবস্থান এবং রোগের পরিস্থিতি বুঝতেই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

রোগীর ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক, ফোলা কমানোর জন্য উপযুক্ত ওষুধ, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

রোগী যদি সময়মতো চিকিৎসকের কাছে আসে, তবে সাধারণত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের রোগীর জন্য প্রধানত মল স্বাভাবিক রাখতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা, প্রচুর শাকসবজি ও পানি গ্রহণ করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে মল নরম করার ওষুধ ব্যবহার করাই যথেষ্ট হবে। যদি ওষুধের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুবিধা না হয়, তখন ব্যান্ড লিগেশন বা স্ক্লেরোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে। পাইলস যখন দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকে তখনও সাধারণত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে না, তবে এ সময় প্রাথমিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় যাতে রোগীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। 

পাইলসের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে অস্ত্রোপচার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। আধুনিক স্ট্যাপল্ড হেমোরয়ডেকটমি এর মাধ্যমে করা হলে বাইরে কোনো কাটা লাগে না এবং মলত্যাগের পর ড্রেসিংও প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে রোগী সাধারণত সাত দিনের মধ্যে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন। যদি শিরাগুলো সম্পূর্ণভাবে মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে এবং সংক্রমণ বা ইনফেকশন থাকে, তবে ওপেন বা ক্লোজ হেমোরয়ডেকটমি করতে হয়। 

পাইলসের সমস্যা কমাতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত? 

সাধারণভাবে, পাইলস রোগীদের জন্য সব ধরনের খাবার উপযোগী নয়। কিছু খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে অন্যথায় পাইলসের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করবেঃ 

গরুর গোশত: পাইলস থাকলে গরুর গোশত খাওয়া অনুপযুক্ত। হোয়াইট মিট বা মুরগির গোশত নিরাপদ বিকল্প, তবে সেগুলোও পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।

গরম মশলা: যে খাবারে প্রচুর গরম মশলা থাকে, তা পাইলস রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। এগুলো প্রদাহ ও জ্বালা বাড়ায়, ফলে রোগের উপসর্গ তীব্র হয় এবং চিকিৎসার ফলও বিলম্বিত হতে পারে। তাই খাবারে মশলার পরিমাণ সীমিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

মরিচ: শুকনো বা কাঁচা মরিচ উভয়ই পাইলস রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যারা প্রদাহ বা ফোলা শিকার, তাদের জন্য অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া ব্যথা ও অস্বস্তি বৃদ্ধি করতে পারে। 

আইসক্রিম: আইসক্রিমের অতিরিক্ত ব্যবহার মল শক্ত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়, যা পাইলসের উপসর্গ আরও তীব্র করে। তাই পাইলস থাকলে আইসক্রিম সীমিত পরিমাণে বা এড়িয়ে চলা উচিত।

মাছ ও ডিম: সাধারণভাবে মাছ ও ডিম পুষ্টিকর হলেও কিছু পাইলস রোগীর ক্ষেত্রে এগুলো সমস্যা বাড়াতে পারে। যদি খাবার পরিপ্রেক্ষিতে পাইলসের উপসর্গ বাড়ে, তাহলে মাছ ও ডিমের পরিমাণ কমানো উচিত।

ময়দার তৈরি খাবার: সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি, কেক, পাস্তা ইত্যাদি খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে। কম আঁশযুক্ত খাবার মল শক্ত করে, ফলে পাইলসের ঝুঁকি বাড়ে। ময়দার পরিবর্তে গোটা আটা বা শস্য ব্যবহার করা অনেক বেশি নিরাপদ।

ভাজা ও তেলযুক্ত খাবার: ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড ও তেলযুক্ত খাবার শরীরের পানির অভাব সৃষ্টি করে এবং মল শক্ত করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে এবং পাইলসের সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে। 

পাইলস এর চিকিৎসা খরচ কত? 

পাইলস অপারেশনের খরচ রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে। পাইলস অপারেশনের খরচ সাধারণভাবে ২০,০০০ টাকা থেকে ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আগেই বলেছি এটি রোগের জটিলতার উপর নির্ভর করে। এছাড়া হাসপাতালের খরচ ও সার্জন বিশেষেও খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। 

পাইলস এর চিকিৎসায় কী ঔষধ সেবন করা হয়? 

পাইলসনিক্স ৬০ ট্যাবলেট একটি বিশেষ ইউনানী ফর্মুলা, যা পাইলসের উপসর্গ হ্রাসে সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ রয়েছে যা প্রদাহ, ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি পাইলসের মূল সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে সহায়ক এবং দীর্ঘমেয়াদে পাইলসের পুনরাবৃত্তি রোধ করে। 

এছাড়া পাইলসনিক্স-বি পাওডার একটি কার্যকর ইউনানী হার্বাল পাউডার, যা পাইলস এবং সংশ্লিষ্ট উপসর্গের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ফোলা শিরা, ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে বেশ কার্যকর। 

FAQs

বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ পাইলসের লক্ষণে কি পার্থক্য থাকে?

হ্যাঁ, বাহ্যিক পাইলস সাধারণত মলদ্বারের বাইরে থাকে, যেখানে ফুলে যাওয়া শিরা বা গাঁট সহজেই দৃশ্যমান হয়। এই অবস্থায় রোগীরা বসা, হাঁটা বা মলত্যাগের সময় তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। অপর দিকে, অভ্যন্তরীণ পাইলস মূলত মলদ্বারের ভেতরে থাকে, তাই প্রথম দিকে এটি সহজে দৃশ্যমান হয় না। এই ধরনের পাইলসে মলত্যাগের সময় রক্তপাত দেখা দিতে পারে।

পাইলসের প্রাথমিক চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?

প্রাথমিক চিকিৎসার শুরুতে লক্ষ্য থাকে রোগীর মলকে নরম রাখা, কোষ্ঠকাঠিন্য কমানো এবং মলদ্বারের ফোলা ও ব্যথা কমানো। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রথম ধাপে রোগীকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে বলা হয়। এছাড়া দীর্ঘ সময় বসে থাকা বা মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া এড়িয়ে চলা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসক মল নরম করার ঔষধ দিতে পারেন।

অস্ত্রোপচার ছাড়া পাইলসের প্রাথমিক চিকিৎসার খরচ কত হতে পারে?

অস্ত্রোপচার ছাড়া পাইলসের প্রাথমিক চিকিৎসার খরচ সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম হয়। এই পর্যায়ের চিকিৎসায় প্রধানত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং ঘরোয়া যত্নসহ কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায়।

পাইলস থেকে কি ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা আছে? 

না, এমন কোন সম্ভাবনা নেই। পাইলসের কারণে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় সেগুলো ক্যানসার বা খাদ্যনালীর অন্য গুরুতর সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে। তাই আগেই এই মরণব্যধীর কথা চিন্তা হয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন দরকার নেই। পরীক্ষা করে দেখলেই সব বোঝা যাবে। 

শুধু ঔষধ সেবন করেই কি পাইলস নিরাময় করা যায়? 

না, শুধু ঔষধ সেবন করেই পাইলস সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়, বিশেষ করে যদি পাইলস জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ঔষধ মূলত ব্যথা ও প্রদাহ কমানো, এবং মল নরম রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। অবস্থা জটিল হলে অপারেশন করাতে হতে পারে। 

Author

  • ডাঃ তানহা একজন নিবেদিতপ্রাণ মেডিসিন ও গাইনী বিশেষজ্ঞ, যিনি বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। অভ্যন্তরীণ রোগ ও নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তিনি নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক ও প্রমাণভিত্তিক তথ্য প্রচারে বিশ্বাসী। Emergencypillbd.com-এ তিনি নিয়মিতভাবে প্রেগন্যান্সি, পিরিয়ড, ইমার্জেন্সি পিল এবং নারীস্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখা শেয়ার করে থাকেন, যা নারীদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

Leave a Comment