Adovas Syrup এর কাজ কি? Adovas Syrup Price

আপনি হয়তো Adovas syrup এর নাম শুনে থাকবেন। আপনি কি জানেন Adovas syrup এর কাজ কি? আসলে এই সিরাপটি বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের সমন্বয়ে তৈরি, যেসব উদ্ভিদ বহু শতাব্দী ধরে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে ব্যবহার হয়ে আসছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো কাশি নিরাময়ে এটি বিশেষভাবে কার্যকর। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক – সবার জন্যই সিরাপটি উপকারী। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সেবনে ঝিমুনি আসে না। 

আবার প্রচলিত অনেক কফ সিরাপের মতো মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয় না। এর আগে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সম্পর্কে আপনাদেরকে তথ্য দিয়েছিলাম। আজকের আর্টিকেল এ এই সিরাপটি সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। আসলে দরকারি ঔষধগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকলে আপনাদের এটি গ্রহণ করতেও সুবিধা হবে। তাহলে চলুন আর কোটা না বাড়িয়ে আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই। 

আরও পড়ুনঃ Omidon 10 কিসের ঔষধ?

Adovas সিরাপ কী কাজ করে? 

Adovas সিরাপ মূলত কাশি উপশমের জন্য ব্যবহৃত একটি কার্যকর ওষুধ। এটি শুধু শুকনো কাশিই কমায় না, বরং কফ জমে থাকা কাশিতেও ভালো কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকলে ফুসফুসে জমে থাকা কফ ধীরে ধীরে ঘন হয়ে যায়, আর Adovas সিরাপ সেই কফ পাতলা করে শরীর থেকে বের হতে সহায়তা করে। ঠান্ডা লাগা, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা ইত্যাদি সর্দি-কাশির উপসর্গ কমাতেও এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ব্রঙ্কাইটিসে যখন শ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তখন এই সিরাপ উপকার দেয়। এমনকি ব্রঙ্কাইটিস ছাড়াও অ্যাজমা কিংবা অন্য কারণে শ্বাসকষ্ট হলে কিছুটা আরাম পেতে Adovas সিরাপ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

Adovas syrup সেবনের নিয়মঃ 

সিরাপটি অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে সেবন করা উচিত। সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে তিনবার ১০ মিলি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শিশুদের জন্য ডোজ একটু কম, দিনে তিনবার ৫ মিলি করে দেওয়া যথেষ্ট। এটি খাবারের পর সেবন করা ভালো। ইচ্ছা করলে আরও ভালো উপকারের জন্য সিরাপটি হালকা গরম করে খাওয়া যেতে পারে।

Adovas সিরাপের উপকারিতা কী কী? 

Adovas Syrup benefits

Adovas syrup সম্পর্কে যদিও আমরা আগে কিছুটা বলেছি তারপরও এর উপকারিতা গুলো আলাদা করে না বললেই নয়। শরীরের ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেঃ 

  • ফুসফুসের কাশি প্রশমিত করে ও আরাম দেয়।
  • ফুসফুসের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
  • ফুসফুসের খিঁচুনি কমায়।
  • দীর্ঘদিন বুকের ভেতরে জমে থাকা কফ পাতলা করে সহজে বের হতে সাহায্য করে।
  • ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি, হাঁপানি ও গলা ভাঙার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
  • নানারকম ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
  • ফুসফুসের প্রদাহ হ্রাস করে এবং জ্বর কমাতেও উপকার করে।
  • শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন অসুস্থতা নিরাময়ে কার্যকর এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
  • হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আরাম প্রদান করে।

Adovas syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ 

Adovas syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত এমন ধরনের হয় যা সচরাচর বোঝা যায় না। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে এমন হবে তা নয়। সিরাপে ব্যবহৃত ভেষজ উপাদানগুলো সাধারণত নিরাপদ এবং সহজে সহ্যযোগ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা নিম্নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো দিতে পারেঃ 

  • অতিরিক্ত খেলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • খুব বেশি সেবনের ফলে পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া) হতে পারে।
  • বিরল ক্ষেত্রে অ্যালার্জি বা ত্বকে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভবতী বা স্তন্যদানরত মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট তথ্য নেই, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।

Adovas syrup রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কি? 

হ্যাঁ, এতে ব্যবহৃত কিছু ভেষজ উপাদান, যেমন আদা, তুলসী, মধু ইত্যাদি, শুধুমাত্র কাশি বা সর্দির উপসর্গ কমাতেই সীমাবদ্ধ নয়। এগুলো শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অর্থাৎ এই সিরাপটি কেবল উপসর্গ নিরাময় করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে ব্যবহারকারী কাশি, সর্দি বা ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা থেকে দ্রুত সুস্থ হতে পারে এবং নতুন রোগের ঝুঁকিও কমে যায়।

Adovas Syrup Price

এডোভাস সিরাপের দাম মূলত বোতলের আকারের ওপর নির্ভর করে এবং সাধারণত এটি দুটি ভিন্ন আকারে বাজারে পাওয়া যায়। ১০০ মিলি বোতলের দাম প্রায় ৭০ টাকা থাকে, আর ২০০ মিলি বোতলের দাম সাধারণত ১১০ টাকা। তবে দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে, কারণ বিভিন্ন ওষুধের দোকান বা অনলাইন ফার্মেসিতে মাঝে মাঝে ছাড় বা অফার দেওয়া হয়। তাই সিরাপ কেনার আগে দাম যাচাই করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

FAQs

Adovas syrup মূলত কোন ধরনের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়?

Adovas syrup একটি কার্যকর শ্বাসকষ্ট ও কাশির ওষুধ, যা মূলত নানারকম শ্বাসনালীর সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষভাবে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট, ও কফ জমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকলে ফুসফুসে জমে থাকা কফ ধীরে ধীরে ঘন হয়ে যায়। Adovas syrup সেই কফকে সহজে বের হতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর অবস্থা স্বাভাবিক করে। 

Adovas syrup শরীরে কাজ করতে কত সময় নেয়? 

Adovas syrup এর কার্যকারিতা শুরু হতে সময় ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, যা নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও সমস্যার তীব্রতার ওপর। সাধারণভাবে, নিয়মিত সেবনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বা কয়েক দিনের মধ্যে কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ হ্রাস পেতে শুরু করে। তবে যাদের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী, তাদের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে এই সিরাপ ব্যবহার করতে হয়।

অ্যাজমা রোগীদের জন্য Adovas syrup এর কীভাবে কাজ করে?

অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে Adovas syrup শ্বাসনালীর কফকে পাতলা করে সহজে বের হতে সাহায্য করে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমে এবং রোগী স্বস্তি অনুভব করে। এছাড়াও এটি শ্বাসনালীর প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়ক, যা কাশি ও শ্বাস আটকে যাওয়ার সমস্যায় উপকার দেয়। 

Adovas syrup এর সবথেকে ভালো দিক কোনটি? 

এডোভাস সিরাপের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো, এটি সেবন করার পর সাধারণত ঝিমুনি বা ঘুমের অনুভূতি সৃষ্টি করে না। অর্থাৎ সিরাপ খাওয়ার পরও আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম, পড়াশোনা বা অফিসের কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবেন। এটি বিশেষভাবে এমন ব্যক্তিদের জন্য উপকারী যারা দিনের বেলা কাজের সময় কাশি ও সর্দি উপশম করতে চান, কিন্তু ঘুম বা অসাড়তা অনুভব করতে চান না। এডোভাস সিরাপের ব্যবহার স্বাভাবিক জীবনযাত্রার কোনো ব্যাঘাত ঘটায় না।

Author

  • ডাঃ তানহা একজন নিবেদিতপ্রাণ মেডিসিন ও গাইনী বিশেষজ্ঞ, যিনি বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। অভ্যন্তরীণ রোগ ও নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তিনি নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক ও প্রমাণভিত্তিক তথ্য প্রচারে বিশ্বাসী। Emergencypillbd.com-এ তিনি নিয়মিতভাবে প্রেগন্যান্সি, পিরিয়ড, ইমার্জেন্সি পিল এবং নারীস্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখা শেয়ার করে থাকেন, যা নারীদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

Leave a Comment