স্যানিটারি ন্যাপকিন – প্রতিটি নারীর জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যা তাঁদের বিশেষ দিন গুলোতে সবথেকে বেশি সহায়ক হিসেবে কাজ করে। নারীদের পিরিয়ড হওয়াটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কিন্তু পিরিয়ডের দিনগুলোতে নিজেকে পরিচ্ছন্ন এবং সাস্থ্যকর অবস্থায় রাখতে হলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিকল্প নেই। বাজারে অনেক ধরনের প্যাডই রয়েছে কিন্তু পিরিয়ডে কোন প্যাড ভালো হবে সেটা জেনে রাখা জরুরী।
যেকোনো প্যাড ব্যবহার করা সাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ মানহীন প্যাড ব্যবহারে পিরিয়ড পরবর্তী সময়ে যথেষ্ট সাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েছে। তাই স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা উচিৎ। এছাড়া কোন স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কেমন সেটাও জানতে হবে। পিরিয়ড সম্পর্কে আমরা আগেই কিছু লেখা প্রকাশ করেছিলাম, তবে স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে আজই প্রথম লেখা এটি। তাই আশা করবো আপনারা মন দিয়ে পড়বেন পুরো আর্টিকেলটি।
আরও পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা কেন হয়?
পিরিয়ডের সময় কোন প্যাড ব্যবহার করা সবথেকে ভালো?
পিরিয়ডের সময় কোন ধরনের স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা উচিত তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর যেমন রক্তস্রাবের পরিমাণ, ত্বকের ধরণ ও ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য। বেশি দামি হলেই যে সেটি আপনার জন্য ভালো হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। সাধারণভাবে, সুগন্ধিযুক্ত প্যাড ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এগুলোতে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা জরায়ু ও প্রজননতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সবসময় সুগন্ধিবিহীন, নিরাপদ উপাদানযুক্ত প্যাড বেছে নেওয়া উত্তম।
ত্বকের সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করলে, কটন বা নরম উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাড ব্যবহার করা সবচেয়ে আরামদায়ক। যাদের রক্তস্রাব তুলনামূলক বেশি হয়, তাদের জন্য উইংসযুক্ত প্যাড বেশি কার্যকর, কারণ এটি জায়গায় স্থির থাকে এবং বেশি তরল শোষণ করতে সক্ষম। আবার, যাদের রক্তস্রাব কম হয়, তাদের জন্য পাতলা ও স্লিম ধরনের প্যাড বেশি উপযোগী, কারণ এটি হালকা, আরামদায়ক এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যেই ধরনের প্যাডই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা সময়মত পরিবর্তন করা উচিত। কারণ আর্দ্রতা জমে থাকলে জীবাণু দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা সংক্রমণ ও দুর্গন্ধের ঝুঁকি বাড়ায়।
পিরিয়ডের সময় প্যাড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী বিবেচনা করতে হবে?
স্যানিটারি প্যাড কিংবা কাপড় ব্যবহারের আগে, ব্যবহার চলাকালীন ও পরে কিছু জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকেই এসব নিয়ম ঠিকভাবে অনুসরণ করেন না, যার ফলে প্রজনন অঙ্গের নানা ধরনের রোগ ও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ঋতুস্রাবের পরিমাণ অনুযায়ী সঠিক মাপের স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা জরুরি। ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাডের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করে নিতে হবে, কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাড ব্যবহার করা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। পিরিয়ড চলাকালে জরায়ুতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই প্যাড ব্যবহারের আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে হাতের জীবাণু প্যাডে লাগার সম্ভাবনা কমে যায় এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
স্যানিটারি প্যাডের ওপর টিস্যু ব্যবহার করা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। টিস্যুর রাসায়নিক উপাদান শরীরে সংক্রমণ বা অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই দীর্ঘসময় প্যাডের ওপর টিস্যু ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। একইভাবে, সুগন্ধিযুক্ত প্যাডও জরায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। তাই সুগন্ধিবিহীন ও আরামদায়ক স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করাই সর্বাধিক নিরাপদ।
পিরিয়ডের সময় কি কাপড় ব্যবহার করা ভালো?
অনেকেই আছেন যারা পিরিয়ডের সময় কাপড় ব্যবহার করে থাকেন। হতে পারে এটি পূর্ব অভ্যাসের কারণে অথবা প্যাড কেনার খরচ বাঁচাতে। তবে কাপড় ব্যবহার করা স্বাস্থ্যসম্মত না কারণ এটি জীবাণুমুক্ত রাখা কঠিন। কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকানো না হলে এতে নানা ধরনের জীবাণু থেকে যায়, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া কাপড় আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং দ্রুত ভিজে যায়, ফলে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস সহজেই বৃদ্ধি পায়।
অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহারের ফলে মূত্রনালি ও প্রজননতন্ত্রে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একই সঙ্গে কাপড় দ্রুত দুর্গন্ধ তৈরি করে, যা দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তির কারণ হয়। অনেকেই কাপড় সময়মতো পরিবর্তন করেন না, যা স্বাস্থ্যঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই পিরিয়ডের সময় কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো। এটি একদিকে যেমন অস্বস্তিকর তেমন অন্যদিকে কোন স্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কিছুটা খরচ হলেও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কত?
একেক ধরনের স্যানিটারি প্যাড এর দাম একেক রকম। আবার প্যাকেটের ভিতরে প্যাড এর সংখ্যা ও বৈশিষ্ট্য বিবেচনায়ও একই ব্র্যান্ডের বিভিন্ন দামের প্যাড রয়েছে। তাই আপনাদেরকে প্যাড এর দাম সম্পর্কে ধারনা দিতে আমরা সম্ভাব্য দাম গুলোর সমন্বয়ে একটি তালিকা উপস্থাপন করছি নিচেঃ
প্যাড এর নাম | প্যাড এর ধরন | প্যাড এর সংখ্যা |
দাম |
ফ্রিডম (Freedom) | ফ্রিডম পপুলার | ৮ প্যাড | ৫০ থেকে ৫৫ টাকা |
ফ্রিডম হেভি ফ্লো উইংস | ৮ প্যাড | ৯০ থেকে ১১০ টাকা | |
ফ্রিডম প্যান্টি সিস্টেম | ১০ প্যাড | ১০০ থেকে ১১৫ টাকা | |
সেনোরা (Senora) | সেনোরা বেল্ট সিস্টেম | ১৫ প্যাড | ১২০ থেকে ১৩০ টাকা |
সেনোরা কনফিডেন্স প্যান্টি সিস্টেম | ১৫ প্যাড | ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা | |
সেনোরা আলট্রা-থিন | ৮ প্যাড | ১০০ থেকে ১১০ টাকা | |
জয়া (Joya) |
জয়া রেগুলার ফ্লো উইংস | ৮ প্যাড | ৭০ থেকে ৮০ টাকা |
জয়া এক্সট্রা হেভি ফ্লো উইংস | ৮ প্যাড | ১০০ থেকে ১১০ টাকা | |
জয়া বেল্ট সিস্টেম | ৮ প্যাড | ৬০ থেকে ৭০ টাকা | |
হুইসপার (Whisper) | হুইসপার আলট্রা ক্লিন উইংস | ১৫ প্যাড | ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা |
হুইসপার ম্যাক্সি নাইটস উইংস | ৭ প্যাড | ১৭০ থেকে ২০০ টাকা | |
সোফি (Sofy) |
সোফি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া | ৭ প্যাড | ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা |
সোফি কুল ফ্রেশনেস | ৭ প্যাড | ১২০ থেকে ১৪০ টাকা |
নোটঃ নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানি করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাকেটজাত তরল দুধ এবং বলপয়েন্ট পেনের উপরও ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
সস্তা ন্যাপকিন ব্যবহার করলে কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে?
সস্তা বা নিম্নমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা অনেকগুলো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এসব ন্যাপকিন তৈরির সময় প্রায়ই নিম্নমানের উপাদান এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। প্যাডগুলোর অপর্যাপ্ত শোষণ ক্ষমতা এবং বাতাস চলাচলের অভাবের কারণে আর্দ্রতা ভেতরে আটকে থাকে, যা ত্বককে ভেজা রাখে। সবথেকে বড় ঝুঁকি হলো, এই স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ স্থান হয়ে ওঠে, যার ফলে ইউরিন ইনফেকশনের মতো সংক্রমণ হতে পারে।
এসব প্যাডে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলো দীর্ঘমেয়াদে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং আরও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই, সাময়িক খরচ বাঁচানোর জন্য নিম্নমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর পরিবর্তে ভালো মানের প্যাড ব্যবহার করা জরুরি।
FAQs
কোন কোন ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন বেশি জনপ্রিয়?
বাংলাদেশে বেশ কিছু স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্র্যান্ড বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এর মধ্যে Freedom ব্র্যান্ড হেভি ফ্লো এবং উইংসযুক্ত প্যাডের জন্য পরিচিত, যা অনেকেই পছন্দ করেন। Senora ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী মূল্যের হলেও মানসম্মত প্যাড সরবরাহ করে, তাই এটি বেশ জনপ্রিয়। SMC Joya বিশেষত বেল্ট সিস্টেম প্যাডের জন্য পরিচিত। Whisper আন্তর্জাতিক মানের প্যাড হওয়ায় বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া Fresh Anonna আরামদায়ক ও শোষণক্ষমতাসম্পন্ন প্যাডের কারণে ব্যবহারকারীদের কাছে পছন্দের। এছাড়া আরও অনেক প্যাড আছে যেগুলো ভালো।
রক্তস্রাবের পরিমাণ অনুযায়ী প্যাডের ধরন কিভাবে নির্বাচন করবেন?
পিরিয়ডের সময় রক্তস্রাবের পরিমাণ অনুযায়ী প্যাড নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। হালকা রক্তস্রাবের জন্য পাতলা বা স্লিম প্যাড ব্যবহার করা উচিত, মাঝারি রক্তস্রাবের জন্য নিয়মিত শোষণক্ষম প্যাড উপযুক্ত, আর ভারী রক্তস্রাবের জন্য উইংসযুক্ত বা হেভি ফ্লো প্যাড নিরাপদ। রাতে বা দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকার সময় দীর্ঘ ও হেভি প্যাড ব্যবহার করা ভালো। যেকোনো প্যাডই আপনার জন্য উপযুক্ত নয়। আপনার রক্তপাতের ধরন অনুযায়ী প্যাড বেছে নেওয়া আপনাকে বেশি আরাম ও স্বস্তি প্রদান করবে।
উইংসযুক্ত প্যাড ব্যবহারের বিশেষ সুবিধা কী?
মাসিকের সময় উইংসযুক্ত প্যাড ব্যবহার করা বেশ সুবিধাজনক। প্রথমত, উইংস প্যাডে থাকা উইংস প্যাডকে অন্তর্বাসের সঙ্গে ঠিকভাবে ধরে রাখে, ফলে প্যাড সরতে বা ঘুরতে পারে না। পাশাপাশি এই ধরনের প্যাড বেশি তরল শোষণ করে, তাই ভারী রক্তস্রাবের সময় দীর্ঘ সময় নিরাপদ থাকে। প্যাডের পাশে থাকা অংশটি আর্দ্রতা বা লিক হওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া, উইংসযুক্ত প্যাড ব্যবহার করলে দৈনন্দিন কাজ বা হাঁটাচলা করার সময়ও প্যাড স্থির থাকে।
প্যাড নিয়মিত পরিবর্তন না করলে কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে?
অনেক সময় দেখা যায় যে কাজের ব্যস্ততায় বা গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে কেউ কেউ পিরিয়ডের সময় প্যাড বদলানোর সুযোগ পান না। কিন্তু এটাই মূল ভুল। পিরিয়ডের সময় প্যাড ব্যবহার করলে তা প্রতি ৬–৭ ঘণ্টা অন্তর বদলানো উচিত। দীর্ঘক্ষণ একই প্যাড পরার ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে, যা সংক্রমণ, চুলকানি, ফোলা বা অন্যান্য ত্বকজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অপরিচ্ছন্নতার কারণে এই সময়ে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। আমাদের দেশে মেয়েদের মধ্যে ইউরিন ইনফেকশন এবং জরায়ুর ক্যান্সার বেশ সাধারণ, এবং এর একটি বড় কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও পরিচ্ছন্নতার অভাব। তাই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিয়মিত প্যাড পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।
প্যাড ব্যবহারের আগে কী কী খেয়াল রাখবেন?
প্যাড ব্যবহারের আগে কিছু রক্তপাতের মাত্রা অনুযায়ী সঠিক আকারের প্যাড নির্বাচন করা প্রয়োজন, যাতে আরামদায়ক এবং নিরাপদভাবে ব্যবহার করা যায়। অবশ্যই এর মেয়াদ পরীক্ষা করে নিন, কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাড ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। এছাড়া প্যাড ধরার আগে এবং পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে জীবাণু বা সংক্রমণ প্যাডের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ না করতে পারে।
দাম বেশি হলেই কি সেই প্যাড ভালো?
না, দাম বেশি মানেই যে সেই প্যাড সবথেকে ভালো হবে বা সেটাই ব্যবহার করা উচিৎ এমন কোন কথা নেই। বাজারে বিভিন্ন দামের প্যাড আছে। আসলে ব্র্যান্ড অনুযায়ী প্যাড এর সামে তারতম্য হয়ে থাকে। আবার প্যাড এর সংখ্যা অনুযায়ীও দাম কমবেশি হয়ে থাকে। আমরা উপরে কয়েকটি প্যাড এর দাম সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বলেছি। টেবিলে দেওয়া প্রতিটি প্যাডই ভালো, অথচ দামে কিন্তু তারতম্য রয়েছে। তাই আপনি আপনার সাধ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাড কিনতে পারেন, খুব দামি প্যাডই যে কিনতে হবে এমন কোন কথা নেই।