সাদা স্রাব হলে কি ক্ষতি হয়? কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

মহিলাদের মধ্যে যদি সাদা স্রাব সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে যে কোনটি স্বাভাবিক আর কোনটি ক্ষতিকারক, তাহলে অকারণ উদ্বেগ অনেকটাই কমে যাবে। বেশিরভাগ মহিলারই এই বিষয়ে সঠিক ধারণা নেই। বিশেষ করে ভারতীয় সমাজে এ নিয়ে প্রচণ্ড দ্বিধা ও সংকোচ কাজ করে। এমনকি শিক্ষিত মহিলারাও প্রায়ই এ নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এর ফলেই অনেক সময় সাদা স্রাবকে অবহেলা করা হয় এবং বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। কেউ এ কারণে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভোগেন, কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক সময় জটিলতা প্রাণঘাতী পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে। 

সাদা স্রাব অনেক সময় স্বাভাবিক হতে পারে, আবার কখনও অস্বাভাবিক। তবে চিকিৎসকের কাছে তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার আগে বোঝা জরুরি যে শরীর থেকে বের হওয়া সাদা স্রাবটি আসলেই ক্ষতিকর নাকি একেবারেই স্বাভাবিক। তাই কেন সাদা স্রাব হয় এবং সাদা স্রাব হলে কি ক্ষতি হয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রতিটি মহিলার জন্য অত্যন্ত জরুরি। আজকের লেখায় আমরা এই ধারনাটিই পরিষ্কার করবো আপনাদের কাছে। তাহলে পুরো লেখাটিতেই আমাদের সাথে থাকুন। 

আরও পড়ুনঃ প্রতিমাসে পিরিয়ড হওয়া জরুরি কিনা?

এখানে আপনি পাবেন

মহিলাদের সাদা স্রাব কেন হয়?

সাদা স্রাবের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু একেবারেই স্বাভাবিক, আবার কিছু ক্ষেত্রে এটি অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে। নিচে সাদা স্রাব হওয়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলোঃ 

  • স্বাভাবিক কারণ

ডিম্বস্ফোটনের সময় জরায়ুর মুখে স্বচ্ছ বা দুধের মতো সাদা স্রাব দেখা দেয়, যা স্বাভাবিক। আবার মাসিকের আগে পরে শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার কারণে সাদা স্রাব হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

  • হরমোনের প্রভাব

হরমোনের ওঠানামার কারণে সাদা স্রাবের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে। বিশেষত বয়ঃসন্ধি, গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সাদা স্রাব বেড়ে যায়। এ সময় এটি দেহের জন্য স্বাভাবিক একটি প্রতিক্রিয়া।

  • যৌন সংক্রমণ

ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসে স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত ও পাতলা হয়। আবার যৌনবাহিত রোগের কারণেও সাদা বা হলুদাভ স্রাব হতে পারে, যা অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন।

  • গোপনাঙ্গের অপরিচ্ছন্নতা 

যদি গোপনাঙ্গ নিয়মিত পরিষ্কার না রাখা হয়, তবে জীবাণুর সংক্রমণ সহজেই হতে পারে। এতে সাদা স্রাব অস্বাভাবিক রূপ নিতে পারে এবং চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। তাই নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরি।

স্বাভাবিক সাদা স্রাবের লক্ষণঃ

স্বাভাবিক সাদা স্রাবের কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা জানলে অকারণ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এগুলো হলোঃ

  • স্রাব সাধারণত স্বচ্ছ, দুধের মতো বা হালকা সাদা রঙের হয়।
  • এতে কোনো দুর্গন্ধ থাকে না।
  • স্রাব পাতলা বা হালকা আঠালো হতে পারে, তবে অস্বস্তিকর নয়।
  • মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়ে স্রাবের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।
  • এতে কোনো চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা ব্যথা থাকে না।
  • এটি প্রজনন অঙ্গকে পরিষ্কার ও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

অস্বাভাবিক সাদা স্রাবের লক্ষণঃ

অস্বাভাবিক সাদা স্রাব সাধারণত শরীরে কোনো সমস্যা বা সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। তাই এর বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। নিচে অস্বাভাবিক সাদা স্রাবের লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত বা পচা গন্ধের মতো হয়।
  • রঙ পরিবর্তিত হয়ে হলুদ, সবুজ, ধূসর বা রক্ত মেশানো হতে পারে।
  • স্রাব ঘন, দইয়ের মতো দলা দলা হয় অথবা অত্যধিক পানির মতো তরল হয়ে যায়।
  • চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি সঙ্গে থাকে।
  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হয়।
  • তলপেট বা কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • অনেক সময় যৌনমিলনের পর রক্তপাত বা অস্বাভাবিক স্রাব হয়।

সাদা স্রাব হলে কি ক্ষতি হয়? 

সাদা স্রাব সবসময় ক্ষতিকর নয় কিন্তু যদি সেটা অস্বাভাবিক হয়, তখন শরীরের নানা ক্ষতি ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিচে সাদা স্রাবের ক্ষতিকারক দিক গুলো তুলে ধরা হলোঃ 

  • অস্বাভাবিক স্রাব প্রায়শই ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণের কারণে হয়। যদি দ্রুত চিকিৎসা না করা হয়, সংক্রমণ উপরের প্রজনন অঙ্গে পৌঁছাতে পারে।
  • ইনফেকশনের কারণে যোনি ও আশেপাশের ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্ষত বা অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
  • কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক স্রাব প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা সৃষ্টি করে। 
  • যদি অস্বাভাবিক স্রাব দীর্ঘ সময় অবহেলিত থাকে, তাহলে জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। 
  • অস্বাভাবিক স্রাবের সঙ্গে সংক্রমণ থাকলে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা কমে যায়। এতে অন্যান্য সংক্রমণ এবং স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

সাদা স্রাব বন্ধ করার উপায় কী?

stop white discharge

অস্বাভাবিক সাদা স্রাব অবশ্যই বন্ধ করতে চেষ্টা করা উচিত কারণ সাস্থ্যের উপর এর বেশ প্রভাব রয়েছে। তাই স্রাবের স্বাভাবিকত্ব ফিরিয়ে আনতে নিচের কাজগুলো করা যেতে পারেঃ  

  • পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

দৈনিক নরম পানি দিয়ে অন্তঃস্রাবের অংশ পরিষ্কার করা উচিত। খুব শক্ত সাবান অতিরিক্ত শুকনো বা জ্বালা তৈরি করতে পারে, যা স্রাব বাড়াতে পারে। আরামদায়ক কটন অন্তর্বাস পরলে ত্বক শ্বাস নেয় এবং আর্দ্রতা কম হয়।

  • শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা

শরীর সুস্থ থাকলে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে এবং অতিরিক্ত স্রাব কমে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা যোগব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক রাখে। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামও হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা

চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে হরমোনে প্রভাব পড়ে এবং স্রাব বাড়তে পারে। তাই ফল, সবজি, সুষম প্রোটিন এবং প্রচুর পানি খেলে শরীর ডিটক্সিফাই হয় এবং স্রাব স্বাভাবিক হয়।

  • হরমোন নিয়ন্ত্রণ

সাদা স্রাবের একটি বড় কারণ হল হরমোনের অস্বাভাবিকতা। বিশেষ করে মহিলা হরমোনের অমিল হলে স্রাব বাড়তে পারে। যদি অতিরিক্ত স্রাব দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, ডাক্তার হরমোনাল চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারেন।

  • মানসিক চাপ কমানো

অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ হরমোনে প্রভাব ফেলে, যার কারণে স্রাব বাড়তে পারে। স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, হালকা ব্যায়াম করা খুব কার্যকর।

সাদা স্রাবের চিকিৎসাঃ 

সাদা স্রাবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা প্রথমে স্রাবের বোঝার চেষ্টা করেন। তারা লক্ষ্য করেন স্রাবের ধরন, রঙ, স্থায়িত্ব, পরিমাণ এবং তীব্রতা কেমন। সাদা স্রাব চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো লাইফস্টাইল বা জীবনধারায় পরিবর্তন আনা। রোগীকে পরামর্শ দেওয়া হয় নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা, সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য। যদি এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হয়, তখন চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করেন।

সাদা স্রাব কি একেবারে বন্ধ করা যায়? 

সাধারণভাবে বলতে গেলে, নারীদের সাদা স্রাব সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব নয়, উচিতও নয়। একে বন্ধ করার চেষ্টা করলে উল্টো যোনিপথের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তবে অস্বাভাবিক স্রাবের ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে ভাবা যেতে পারে। সুতরাং, স্বাভাবিক সাদা স্রাব শরীরের জন্য উপকারী, তাই তা বন্ধ করার প্রয়োজন নেই; কিন্তু অস্বাভাবিক স্রাব হলে অবশ্যই তা সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।

FAQs

সাদা স্রাবের কারণে মহিলাদের মানসিক অবস্থায় কী প্রভাব পড়ে?

সাদা স্রাবের কারণে মহিলাদের মানসিক অবস্থায় নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক স্রাব হলে অনেক নারী মানসিক চাপ অনুভব করেন, কারণ তাঁরা ভাবেন এটি কোনো বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে। এতে আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং সামাজিক অস্বস্তি তৈরি হয়। পাশাপাশি শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়লে মনেও অবসাদ আসে, যা দৈনন্দিন কাজের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। 

অস্বাভাবিক সাদা স্রাব কি প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে?

হ্যাঁ, অস্বাভাবিক সাদা স্রাব প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যখন স্রাবের পরিমাণ, রঙ বা গন্ধ অস্বাভাবিক হয়ে যায়, তখন এটি সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। এসব সমস্যা দীর্ঘদিন অবহেলা করলে গর্ভধারণের সমস্যা, এমনকি বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। 

সাদা স্রাব শরীরের রক্তস্বল্পতার কারণ হতে পারে কি?

হ্যাঁ, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত সাদা স্রাব হলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এতে ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, চোখে ঝাপসা দেখা, এমনকি ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে গেলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়, যা আবার স্রাবের পরিমাণ বাড়ায়।

সাদা স্রাবের কারণে কি যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে?

হ্যাঁ, সাদা স্রাবের কারণে নারীর যৌন জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব পড়তে পারে। যখন স্রাব অস্বাভাবিক হয়ে যায় তখন তা যোনিতে অস্বস্তি ও জ্বালা সৃষ্টি করে, ফলে যৌন সম্পর্কের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হয়। এতে নারী অনিচ্ছাকৃতভাবে যৌন সম্পর্কে অনাগ্রহী হয়ে পড়তে পারেন। দীর্ঘমেয়াদে এই ধরনের শারীরিক সমস্যা যৌন জীবনের স্বাভাবিকতা নষ্ট করতে পারে।

মাসিকের আগে সাদা স্রাব হওয়া কি স্বাভাবিক? 

হ্যাঁ, মাসিকের আগে সাদা স্রাব হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। এই স্রাবের মূল কাজ হলো যোনি পরিষ্কার রাখা, জীবাণু প্রতিরোধ করা এবং যোনিপথকে আর্দ্র রাখা। মাসিকের ঠিক আগে স্রাব সাধারণত একটু ঘন বা দুধের মতো হয়, তবে এতে সাধারণত কোনো গন্ধ বা চুলকানি থাকে না। 

কতটুকু সাদা স্রাব হওয়া স্বাভাবিক? 

সাদা স্রাবের পরিমাণ সবার ক্ষেত্রে একরকম নয়, এটি শরীর ভেদে ভিন্ন হতে পারে। একই নারীর মাসের বিভিন্ন সময়েও স্রাবের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে, যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সাধারণভাবে, একজন নারীর দিনে প্রায় ২ থেকে ৫ মিলিলিটার পর্যন্ত সাদা স্রাব নিঃসরণ স্বাভাবিক ধরা হয়। তবে কিছু সময়ে এই পরিমাণ কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই যদি না কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ থাকে।

প্রতিদিন সাদা স্রাব যাওয়া কি স্বাভাবিক?

হ্যাঁ, প্রতিদিন অল্প পরিমাণে সাদা স্রাব হওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এটি নারীর প্রজনন ব্যবস্থার একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এই স্রাব জরায়ু ও যোনির অভ্যন্তরকে জীবাণু ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তবে স্রাবের পরিমাণ, ঘনত্ব ও রঙ মাসের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।

Author

  • ডাঃ তানহা একজন নিবেদিতপ্রাণ মেডিসিন ও গাইনী বিশেষজ্ঞ, যিনি বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। অভ্যন্তরীণ রোগ ও নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তিনি নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক ও প্রমাণভিত্তিক তথ্য প্রচারে বিশ্বাসী। Emergencypillbd.com-এ তিনি নিয়মিতভাবে প্রেগন্যান্সি, পিরিয়ড, ইমার্জেন্সি পিল এবং নারীস্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখা শেয়ার করে থাকেন, যা নারীদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

Leave a Comment