ফেমিকন কেন খায়? ফেমিকন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ফেমিকন বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত একটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল। নারীদের কাছে খুবই পরিচিত এই পিলটি। আমাদের আজকের আলোচনা হচ্ছে ফেমিকন কেন খায়, ফেমিকন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে। যারা অনেক আগে থেকে এই পিলটি গ্রহণ করছেন তাঁরা অবশ্যই এগুলো সম্পর্কে জানেন। তবে যারা নতুন নতুন ফেমিকন পিল ব্যবহার করছেন বা করবেন তাঁদের এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখতে হবে। 

আমরা এর আগে ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে বেশ কয়েকটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছি আমাদের এই সাইটেই। এই পিল গুলো সম্পর্কে আমরা একারণেই আপনাদেরকে জানাই যাতে আপনারা নিয়ম মেনে গ্রহণ করতে পারেন। পিল অনিয়মিতভাবে গ্রহণ অথবা ঘন ঘন গ্রহণ করার ফলে শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাছাড়া মনে রখতে হবে যে ফেমিকন কোন ইমারজেন্সি পিল নয়। যাইহোক, চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। 

আরও পড়ুনঃ নোরিক্স এর কাজ কি ? নোরিক্স পিল খাওয়ার নিয়ম

Femicon কি ধরনের পিল?

Femicon একটি নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল। যারা ইমার্জেন্সি পিলের পরিবর্তে প্রতিদিন একটি নির্ধারিত সময় পিল খেয়ে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে চান তাঁদের জন্য ফেমিকন অত্যন্ত কার্যকরী একটি পিল। বাংলাদেশে বহু আগে থেকেই এই পিলটির প্রচমন ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। একটি প্যাকেটে ২৮ টি পিল থাকে যা ১ মাসের জন্য বরাদ্দ। ২১ টি সাদা বড়ি এবং ৭ টি খয়েরী রং এর বড়ি থাকে একটি পাতায়।  ২১ দিন পিল খাওয়ার পর সাদা বড়ি শেষ হবে এরপর ৭ দিনে পিরিয়ড হবে এবং ঐ সময় বাকি ৭ টি ওষুধ খেতে হবে। পরবর্তী মাসেও একইভাবে খেতে হবে। এভাবে যতদিন আপনি গর্ভধারণ করতে না চান ততদিন খেয়ে যেতে হবে। 

Femicon খাওয়ার নিয়ম

ফেমিকন পিল অবশ্যই নিয়মানুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। নিয়মের এদিক সেদিক হলেই আপনি যে উদ্দেশ্যে এটি খাচ্ছেন তা পূরণ হবে না। তাই কখন খেতে হবে, কখন খেলে কাজ হবে বা কিভাবে খেতে হবে এইসব কিছু ভালো করে জেনে তারপর এটি খাওয়া শুরু করতে হবে। চলুন কি নিয়মে পিলটি খাবেন তা জেনে নেয়া যাক। 

ফেমিকন একটি নিয়মিত খাওয়ার জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, যা নারীরা গর্ভধারণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিটি ফেমিকন প্যাকেটে ২৮টি পিল থাকে। মাসিক শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই সাদা পিল খাওয়া শুরু করতে হয়, প্রতিদিন একটিমাত্র পিল এবং অবশ্যই একই সময়ে খেতে হয়। এই ২১টি সাদা পিল খাওয়া শেষ হলে শুরু করতে হয় ৭টি লাল পিল, যা সাধারণত মাসিক চলাকালে খাওয়া হয়। লাল পিল শেষ হলে পরদিন থেকেই নতুন প্যাকেটের সাদা পিল খাওয়া শুরু করতে হয়, মাসিক হয়েছে কি না তা না দেখেই। 

পিল খাওয়ার মাঝে কোনোদিন বাদ গেলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ে, তাই প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফেমিকন পিল শরীরে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে গর্ভধারণ রোধ করে। তবে এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো, বিশেষ করে যাদের আগে থেকে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। নিয়ম মেনে খেলে এটি একটি নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয় সর্বসময়ের জন্য। 

Femicon কবে থেকে শুরু করতে হয়? 

সাধারণভাবে, ফেমিকন পিল মাসিকের প্রথম দিন থেকেই খাওয়া শুরু করতে বলা হয়, কারণ এতে পিলটি দ্রুত কার্যকর হয় এবং আলাদা করে অন্য কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিদিন একসময় একটি করে পিল খাওয়া উচিত, যাতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। একটি প্যাকেট শেষ হলে, পরবর্তী প্যাকেট শুরু করার আগে সাধারণত ৭ দিন বিরতি দেওয়া হয়, এই সময়টাতেই স্বাভাবিকভাবে মাসিক হয়। তবে এই সময়েও ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে। 

Femicon পিল Side Effects

ফেমিকন পিল খাওয়াই শেষ কথা নয় কারণে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। নিয়মিত এবং দীর্ঘমেয়াদে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবনের ফলে শরীরের উপর একাধিক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দেখে নিন কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। 

  • নিয়মিত পিল খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে শরীর ভারী ও অসাড় হয়ে যেতে পারে।
  • দীর্ঘদিন সেবনে সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব হতে পারে।
  • অতিরিক্ত সময় ধরে পিল খেলে জরায়ুর স্বাভাবিক গঠন ছোট হয়ে যেতে পারে।
  • নিয়মিত পিল সেবনে অনেক নারীর মাথায় ঝিমঝিম ভাব দেখা দেয়।
  • ঘুম থেকে উঠেও শরীর দুর্বল লাগে, স্বাভাবিক চলাফেরার শক্তিও কমে যেতে পারে।
  • টানা ৫ বছরের বেশি সময় খাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
  • স্তন ক্যান্সার, জরায়ু মুখের ক্যান্সার, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এবং লিভার ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
  • পিল বন্ধ করার পরপরই গর্ভধারণ সম্ভব নাও হতে পারে, অনেক সময় দেরি হয়।

Femicon পিলের দাম

আগেই বলেছিলাম যে ফেমিকন পিলের একটি পাতায় মোট ২৮ টি বড়ি থাকে। আগে এই এক পাতা ওষুধের দাম ছিলো মাত্র ৩০ টাকা। তবে বর্তমানে এটির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন এক পাতা ফেমিকন পিলের দাম ৪৫.৫০ টাকা। এটি কেনার আগে অবশ্যই এর এক্সপায়ারি ডেট বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ যাচাই করুন। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ কখনোই কেনা, বিক্রি বা সেবন করা উচিত নয়, কারণ এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

Femicon খাওয়ার পর প্রেগন্যান্সি সম্ভব?

ফেমিকন পিল যদি আপনি নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে গর্ভধারণ সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি গর্ভধারণের উদ্দেশ্যে এটি খাওয়া বন্ধ করেন তাহলে গর্ভধারণের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। এছাড়া পিল খেতে ভুল হলে বা অনিয়ম করে খেলেও এটি শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা, ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেই গর্ভধারণ হয়ে যায়। পিল খাওয়ার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে বমি বা ডায়রিয়া হলে শরীর পিলের কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে। 

মোটকথা, যতদিন আপনি গর্ভধারণ করতে না চান ততদিন প্রতিদিন নিয়ম করে এই পিলটি গ্রহণ করলে কোনোভাবেই গর্ভধারণ হবেনা। তবে গর্ভধারণের ইচ্ছা থাকলে যেকোনো সময় পিল খাওয়া বন্ধ করে দিন এবং অপেক্ষা করুন। যদি আপনার অন্য কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি গর্ভধারণ করতে পারবেন। তবে একটি কথা, যদি Femicon নিয়মমতো খাওয়ার পরও আপনি গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে উচিৎ। 

Femicon পিল মিস হলে করণীয়ঃ

femicon pill missed

অনেক সময় ব্যস্ততা, ভ্রমণ বা শুধুই ভুলে যাওয়ার কারণে অনেক নারী Femicon পিল খেতে ভুলে যান, যা জন্মনিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি একদিন পিল খেতে ভুলে যান, তবে যেই মুহূর্তে মনে পড়ে, তখনই মিস হওয়া পিলটি খেয়ে ফেলতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের পিলটিও নিতে হবে।অর্থাৎ সেই দিন দুটি পিল খেতে হবে। তবে যদি দুই দিন পিল খাওয়া মিস হয়, সেক্ষেত্রে যেদিন মনে পড়বে সেদিন দুটি এবং পরের দিনও দুটি করে পিল খেতে হবে, যেন মিস হওয়া ডোজ কাভার হয়। 

এরপর প্রতিদিনের মতো একটি করে পিল চালিয়ে যেতে হবে। তবে টানা পিল মিস করলে গর্ভনিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যেতে পারে। তাই পরবর্তী সাত দিন যেন অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কনডম বা অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, পিল খাওয়ার সময় ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে মোবাইলে রিমাইন্ডার সেট করা কিংবা বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কথা চিন্তা করাও বুদ্ধিমানের কাজ। নিয়ম মেনে Femicon সেবন করলে এটি একটি কার্যকর এবং নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবেই কাজ করে।

Femicon খাওয়ার পর পিরিয়ড ডিলে কেন?

অনেকসময় ফেমিকন পিল খাওয়ার পর পিরিয়ড হতে দেরি হয়, তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। বেশ কিছু কারণে এমনটা হতে পারে। পিল সেবনের প্রথম দিকে শরীর হরমোনের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেয়, ফলে পিরিয়ড কিছুটা দেরি হওয়া বা অনিয়মিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। Femicon যদি প্রতিদিন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী না খাওয়া হয় কিংবা মাঝেমধ্যে ভুলে যাওয়া হয়, তাহলে শরীরের হরমোন ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটে, যার প্রভাবে পিরিয়ড দেরিতে হতে পারে।

এছাড়া পিল নিয়মিত না খাওয়ার কারণে গর্ভধারণের আশঙ্কাও থেকে যায়, যা পিরিয়ড মিসের একটি সম্ভাব্য কারণ। পাশাপাশি অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ক্লান্তি, ঘুমের ঘাটতি, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া বা হঠাৎ ওজন পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও পিরিয়ড দেরি হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে

এমনকি যদি আপনি Femicon ঠিকমতো খেয়ে থাকেন তবুও। এই কারণে পিরিয়ড সময়মতো না হলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা উচিত। 

FAQ

Femicon পিল বন্ধ করলে বাচ্চা হবে কবে?

ফেমিকন পিল খাওয়া বন্ধ করার পর স্বাভাবিক মাসিক হলেই সাধারণত আপনার শরীর সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। সাধারণত পিল বন্ধের ১ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই আপনি গর্ভধারণ করতে পারবেন। অনেকের ক্ষেত্রে যেটা হয় তা হচ্ছে, তাঁরা পিল বন্ধের পরপরই গর্ভধারণ করেন। এটি আসলে নির্ধারিত করে বলা সম্ভব নয়। যারা বছরের পর বছর ধরে পিল খাচ্ছেন তাঁদের শরীর গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত হতে একটু বেশি সময় নেয়।  

Femicon পিল কি স্তন্যদানকারী মা খেতে পারে?

স্তন্যদানকারী মায়েদের ফেমিকন পিল খাওয়া নিরাপদ নয়। এ অবস্থায় femicon পিল খেলে বাচ্চার জন্য পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য ঝুঁকিও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে অন্তত বাচ্চার বয়স ৬ মাস বা তাঁর বেশি হতে হবে, তারপর আপনি পিল খেতে পারবেন। তবে এ সময় যদি যৌন সম্পর্ক করতে চান তাহলে সঙ্গীকে কনডম ব্যবহার করতে বলুন যেহেতু পিল খেতে পারবেন না। 

Femicon পিল কাদের জন্য?

Femicon পিল মূলত তাদের জন্য তৈরি যারা গর্ভধারণ থেকে নিরাপদ থাকতে চান এবং নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে চান। বিশেষভাবে, যারা নিয়মিত মাসিক চক্র বজায় রাখতে চান এবং গর্ভধারণ এড়াতে চান, তাদের জন্য Femicon একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। সেইসাথে, যাদের মাসিক চক্র স্বাভাবিক এবং কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নেই, তাদের জন্যও এই পিলটি উপযোগী। 

Femicon পিল খেয়ে কি ব্লিডিং হয়?

হ্যাঁ, পিল খাওয়ার সময় অনেক নারীর মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্লিডিং দেখা যেতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেকোনো পিল খেলেই কম বেশি এমন হয়ে থাকে। তবে যদি ব্লিডিং খুব বেশি বা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা কোনো অস্বস্তি থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে। 

Femicon পিল কি স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি?

না, Femicon পিল কোনো স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়। এটি একটি অস্থায়ী পদ্ধতি। এই পিল প্রতিদিন খেতে হয় এবং এটি খাওয়া বন্ধ করলেই এর কার্যকারিতা থেমে যায়। পিল বন্ধ করার কিছুদিনের মধ্যেই একজন নারীর স্বাভাবিক প্রজনন ক্ষমতা ফিরে আসে এবং তিনি আবার গর্ভধারণ করতে সক্ষম হন।

Author

  • ডাঃ তানহা একজন নিবেদিতপ্রাণ মেডিসিন ও গাইনী বিশেষজ্ঞ, যিনি বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। অভ্যন্তরীণ রোগ ও নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তিনি নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক ও প্রমাণভিত্তিক তথ্য প্রচারে বিশ্বাসী। Emergencypillbd.com-এ তিনি নিয়মিতভাবে প্রেগন্যান্সি, পিরিয়ড, ইমার্জেন্সি পিল এবং নারীস্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখা শেয়ার করে থাকেন, যা নারীদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

Leave a Comment